Header Ads

কোথায় গেল অপুর রঙ্গিন চুল??

 ঢাকার উত্তরায় ৬ নম্বর সেক্টরের একটি এলাকায় এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় লাইকি সেলিব্রেটি অপুকে (অপু ভাই) কারাগারে পাঠানো হয়। সে সময় তার চুল ছিল অনেক বড় ও সবুজ রঙের।


১৫ দিন কারাগারে থাকার পর মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) জামিনে মুক্তি পান আপু। তারপর থেকে তার সেই চুল আর দেখা যায়নি। জানা যায় কারাগার থেকে তার চুল কেটে ছোট করে দেওয়া হয়েছে।
তার আইনজীবী বলেন, কারাগারে চুল কেটে ছোট করায় অপুর মন খারাপ হয়েছে।

আইন অনুযায়ী হাজতি কারো চুল কেটে দেওয়া যায় কি না, এ বিষয়ে তার আইনজীবী বলেন, ‘এ বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।’

পরে এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরী বলেন, ‘কারাগারে একজন আসামিকে আনার পর তাকে শৃঙ্খলার মধ্যেই রাখা হয়। তখন আসামি চাইলেই নিজের মতো জীবনযাপন করতে পারেন না। শৃঙ্খলার জন্য প্রত্যেক আসামির চুল ছোট করার নিয়ম রয়েছে। এ জন্য তার চুল ছোট করা হতে পারে।’

এর আগে, গত ২ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের একটি রাস্তা দখল করে অপু এবং তার কয়েকজন সহযোগী আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় মেহেদী হাসান নামের এক ব্যক্তি ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় মেহেদী রাস্তা ছাড়তে হর্ন দেন। হর্ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং পরে হাতাহাতি থেকে এক পর্যায়ে মারামারির সৃষ্টি হয়।

পরের দিন গত ৩ আগস্ট মেহেদীর বাবা বাদী হয়ে মারামারি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে উত্তরা পূর্ব থানায় অপুসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। পরে পুলিশ ওই মামলায় অপু ও সহযোগী নাজমুলকে গ্রেফতার করে।

গত ৪ আগস্ট অপু ও নাজমুলকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তাদের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করলে পরে আবেদনটি নাকচ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।

১৭ আগস্ট অপুকে জামিন দেওয়া হয়। পরে তার মুক্তিনামা কারাগারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ছাড়া পান অপু। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী এলাকায়। তিনি ঢাকার দক্ষিণখানের একটি বাসায় থাকতেন।

No comments

Powered by Blogger.